শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ০৩:১৩ অপরাহ্ন
ইন্দ্রজিৎ টিকাদার
বটিয়াঘাটা(খুলনা)প্রতিনিধি।
বটিয়াঘাটা উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও গতকাল বুধবার থেকে শুরু হয়েছে । উপজেলায় মোট ৯৬ টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে । এর মধ্যে ১ নং জলমা ইউনিয়নের ৩ টি থানা মিলিয়ে ২৮ টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে । দূর্গাপূজা সুষ্ঠ ও সার্থক ভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়ার পাশাপাশি সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছে ।উপজের ৯৬ টি মন্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আনসার ভিডিপির মোট ৫৫৮ জন সদস্য গতকাল বুধবার প্রত্যেক মন্দিরে ৬ জন আনসার বাহিনীর সদস্য এবং ১১ টি ঝুঁকিপূর্ণ মন্দিরে ৮ জন করে আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে । পাশাপাশি থানা ও জেলা পুলিশ, সেনাবাহিনী, যৌথবাহিনী ,ডিবি পুলিশ, পিবিআই পুলিশ, র্যাব এবং সাদা পোশাকে বিভিন্ন দপ্তরের গোয়েন্দারা এক যোগে কাজ করতে মাঠে রয়েছে । এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে প্রত্যেক মন্দিরে সেচ্ছাসেবক সদস্যরাও কাজ করছে । গতকাল বুধবার মন্দিরে পোস্টিং এর পূর্বে আনসার বাহিনীর সদস্যদের উদ্দ্যেশ্যে এক দিকনির্দেশনা বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসনে আরা তান্নি, থানা (ভারপ্রাপ্ত) অফিসার ইনচার্জ ওসি(তদন্ত) মোঃ মিজানুর রহমান ও উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার মোঃ সাঈদ । অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, সাংবাদিক গাজী তরিকুল ইসলাম, সাংবাদিক চিরঞ্জিৎ মল্লিক সহ আনসার ভিডিপির পিসি ও সদস্যবৃন্দ । আগামী রবিবার মহা বিজয় দশমীর মধ্যে দিয়ে দূর্গাপূজা সমাপ্ত হবে জানিয়েছেন মন্দিরে পূজা উদযাপন পরিষদ । জানা যায়, ভগবান শ্রী রাম চন্দ্রের স্ত্রী সীতা দেবীকে লঙ্কাধীপতি রাক্ষসরাজ রাবন তাঁর বোন সুর্পনাখার অপমানের প্রতিশোধ নিতে হরণ করে লঙ্কায় নিয়ে যান । তখন ভগবান শ্রী রাম চন্দ্র রাবণের হাত থেকে সীতা দেবীকে উদ্ধার ও নারী জাতির সম্মান রক্ষা করতে শক্তির আরাধনা করেন । অর্থাৎ বসন্ত কালের বাসন্তী দেবীকে অকালে অর্থাৎ শরৎ কালে ডেকে পূজা করেছিলেন। সেই থেকে শরৎকালে উক্ত পূজা হয়েছিল বলে এ পূজাকে শারদীয়া দুর্গাপূজা বা শারদীয় দুর্গোৎসব হিসেবে বাঙ্গালীদের সর্ববৃহৎ উৎসবের পরিচিত লাভ করে । উল্লেখ্য ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের চট্টগ্রামে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা যায় । এছাড়াও আরো জানা যায়, সর্বপ্রথম মূর্তি পূজা শুরু করে দিয়েছে রাজা সুরথ ও দেবাস নামের উক্ত দুই ব্যক্তি । উক্ত মূর্তিও না কি তৎকালীন সমযে উনারা চীন দেশ থেকে এনেছিলেন বলে দাবি করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একাংশ ।